Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

স্বাধীনতা পরবর্তী কৃষির উন্নয়ন

স্বাধীনতা পরবর্তী কৃষির উন্নয়ন

মোঃ মেসবাহুল ইসলাম

মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় ঘটনা। এই যুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা লাভ করেছি স্বাধীন দেশ, নিজস্ব পতাকা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নেয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলার ছাত্র-যুবক, কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণ বর্বর হানাদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। তারই পরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে খোদিত হয় একটা নাম- ‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ’।

 
আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণ হবে এ মাসেই। ২০২১ সালে বাঙালির সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাস মার্চ এবার এসেছে ভিন্ন বার্তা নিয়ে। বাংলাদেশ অর্জন করেছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছরে এই সুপারিশ জাতিকে উচ্ছ¡সিত করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এই প্রাপ্তি বিরাট অর্জন। এর সঙ্গে আমরা উদ্যাপন করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, যা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এক ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অন্তপ্রাণ কৃষি ও কৃষকবান্ধব। তিনি স্বপ্ন দেখতেন সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও উন্নত বাংলাদেশের। এ দেশের সংস্কৃতি, সামাজিক রীতিনীতি এবং সার্বিক জীবনপ্রবাহ কৃষিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। কৃষি বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের শুধু খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধান করে না, বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালের জোগানও দেয়। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষি অদূর ভবিষ্যতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর এ চিরসত্যটি অনুধাবন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই আমরা দেখি বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে কৃষক ও কৃষির উন্নয়ন ও কল্যাণ ভাবনায় নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন। পঞ্চাশের দশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের পার্লামেন্টে কৃষক ও কৃষি উন্নয়নের কথা বলতেন অত্যন্ত জোরালোভাবে। পাকিস্তানের ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ২১ দফায় কৃষি উন্নয়ন, পাটের মূল্য, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এসব বিষয় সবিশেষ গুরুত্ব পায়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে রেডিও ও টেলিভিশনে দেয়া ভাষণেও তিনি কৃষির আধুনিকায়নসহ অর্থকরী ফসলের ওপর গুরুত্ব দেন। সেসাথে ভূমি-রাজস্বের চাপে নিষ্পিষ্ট কৃষককুলের ঋণভার লাগবের জন্য ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা বিলোপ এবং বকেয়া খাজনা মওকুফ করার প্রস্তাব রাখেন।


১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশের মাটিতে ফিরে আসেন। সদ্যস্বাধীন রক্তঝরা, মুক্তিযুদ্ধে বিধ্বস্ত একটি দেশে সব প্রতিহিংসা, প্রতিক‚লতাকে উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২-৭৩ আর্থিক বছর প্রথম বাংলাদেশের বাজেট পেশ করেন। বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা উন্নয়ন খাতের মধ্যে ১০১ কোটি টাকা রাখেন কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে। অতঃপর কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার কৃষি উন্নত দেশ থেকে বাংলার মাটি, জলবায়ু ও কৃষকের উপযোগী বিজ্ঞানসম্মত উন্নত প্রযুক্তি সংগ্রহে নেমে পড়েন। দশ লাখ কৃষকের সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার করে নেন। কৃষকদের খাজনার হয়রানি ও ব্যতিব্যস্ত জীবন থেকে রেহাই দিতে পঁচিশ বিঘা পর্যন্ত ভূমির খাজনা মওকুফ করে দেন। ভূমি মালিকানা সর্বোচ্চ সিলিং ১০০ বিঘা পর্যন্ত ধার্য করেন। বাড়তি বা খাসজমি ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কৃষি কাজে জনগণকে অধিকতর সমৃদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ, উন্নতবীজ, সার, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনা, পুনঃসংস্কার, গবেষণা উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে কৃষিবিষয়ক প্রযুক্তি চর্চার মেধা আকর্ষণের যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আর তারই ফলশ্রæতিতে আজ কৃষি গবেষণা, কৃষি সম্প্রসারণ ও কৃষি শিক্ষায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী পদক্ষেপে দেশের মেধাবী সন্তানগণ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন  কৃষি পেশায়।


উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ার বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জনবান্ধব সরকার কৃষিবান্ধবনীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষি ক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং দিকনির্দেশনায় খোরপোশের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে। খাদ্যশস্য উৎপাদন, টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বাণিজ্যে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমি কমতে থাকাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক ‘সেরেস’ (CERES) মেডেল প্রদান করে।


প্রতি বছর দেশে কৃষি জমির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে। সে সাথে মাটির অবক্ষয়, উর্বরতা হ্রাস এবং লবণাক্ততা বাড়ার কারণে মাটির গুণাগুণ হ্রাস পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বন্যা, খরা, ঝড়, রোগবালাইয়ের আক্রমণ এবং নদীভাঙন ইত্যাদি বিষয়াদি কৃষির অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে প্রতিনিয়ত। গত ১২ বছরে বর্তমান সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়কালে গৃহীত পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কৃষি উন্নয়নে নানা ধরনের কৃষিবান্ধব নীতি ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কৃষির সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সার, বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের মূল্য হ্রাস করা হয়েছে। শতকরা ৫০ থেকে ৭০ ভাগ ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিস্তৃত করার পাশাপাশি কৃষকদের ঋণ সুবিধা প্রদান, নগদ আর্থিক ও উপকরণ সহযোগিতা প্রদান, নিত্যনতুন উপযুক্ত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণ করা হয়েছে। স্বল্প জমি থেকে অধিক উৎপাদনের জন্য কৃষকদের মাঝে ভর্তুকি ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিনামূল্যে উচ্চফলনশীল বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। আলুসহ বিভিন্ন সবজি, ফল ও ফুল রপ্তানি সম্প্রসারণের নিমিত্ত উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থা উন্নয়নসহ কার্যকর ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। যশোরের গদখালির পলিহাউজে রপ্তানিযোগ্য ফুল এবং নিরাপদ সবজি উৎপাদনের উদ্যোগ দেশি-বিদেশি মহলে প্রশংসিত হয়েছে। কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও নিরাপদ সবজি/ফল সহজলভ্য করার নিমিত্ত ঢাকায় শেরেবাংলানগরে কৃষকের বাজার চালু করা হয়েছে যেখানে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বাজারজাত করছে। ক্রমান্বয়ে এই ব্যবস্থা জেলা-উপজেলা শহরে সম্প্রসারিত হবে।


ডাল, তেলবীজ, মসলা ও ভুট্টা চাষ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সহায়তা অব্যাহত আছে। এ ছাড়াও কাজুবাদাম, কফি ইত্যাদি অর্থকরি ফসল চাষ ও বাজারব্যবস্থা উন্নয়নে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ফসলের উৎপাদন খরচ হ্রাস করার লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সারের মূল্য ৪ দফা কমিয়ে প্রতি কেজি টিএসপি ৮০ টাকা থেকে কমিয়ে ২২ টাকা, এমওপি ৭০ টাকা থেকে ১৫ টাকা, ডিএপি ৯০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় নির্ধারণ করেছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষকপর্যায়ে ডিএপি সারের খুচরা মূল্য ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে।


এ ছাড়া ফসলের উৎপাদন খরচ কমিয়ে সঠিক সময়ে ফলন নিশ্চিত করতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষি বিপণন ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন ও কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের সফল ধারাবাহিকতায় বিশ্বে বাংলাদেশ এখন ধান উৎপাদনে তৃতীয়, শাকসবজি উৎপাদনে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয় ও কাঁচা পাট রপ্তানিতে প্রথম, আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম।


ডিজিটাল কৃষি তথ্য ‘ই-কৃষি’ প্রবর্তনের ধারা জোরদার করা হয়েছে। দেশে মোট ৪৯৯টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি), কৃষি কল সেন্টার, এআইএসটিউব/ইউটিউব, কৃষি তথ্য বাতায়ন, কৃষক বন্ধু ফোন, ই-বুক, অনলাইন সার সুপারিশ, ই-সেচ সেবা, কৃষকের জানালা, কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা, কমিউনিটি রেডিওসহ বিভিন্ন মোবাইল এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ও সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বীজতুলা বিক্রয়ে ই-সেবা, পোকা দমনে পরিবেশবান্ধব ইয়েলো স্টিকি ট্র্যাপ ব্যবহার, নগর কৃষি, ডিজিটাল কৃষি ক্যালেন্ডার বাছাই করে দেশব্যাপী ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।


সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কৃষিনীতি আধুনিকীকরণ করে জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮ ও জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষুদ্রসেচ নীতিমালা, জৈব কৃষিনীতি প্রণয়নসহ কৃষি উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যকরি ও সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন করেছে। কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নীতিমালা ২০১৯ প্রণীত হয়েছে, যার মাধ্যমে কৃষিতে অবদানের জন্য ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতিদানের বিষয়টি সংহত/সম্প্রসারিত হবে। নিরাপদ ও মানসম্মত ফসল উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা ২০২০ প্রণীত হয়েছে।


ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে খাদ্য উৎপাদনই শেষ কথা নয়। বরং পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের যোগানও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন, সহজলভ্যতা ও প্রাপ্যতার বিষয়ে আরো বেশি মনোযোগ প্রয়োজন। সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ জরুরি। পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতকরণে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন দরকার। সরকারের সঠিক নীতি সহায়তা, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তাভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে পুষ্টিকর খাবার প্রাপ্তি অনেকাংশেই সহজতর হয়েছে।


নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮, এসডিজি ২০৩০, রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি, ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, ডেল্টাপ্লান : ২১০০ এবং অন্যান্য পরিকল্পনা দলিলের আলোকে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলেই কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তব রূপ পাবে।


কৃষির সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের কৃষকের প্রাণ। কৃষির উন্নতি না হলে কৃষকের উন্নতি হবে না। কৃষির উন্নতি যদি বাধাগ্রস্ত হয় তবে বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই কৃষির উন্নতি সাধিত হলে কৃষকেরও দুর্দশা লাঘব হবে। এ ব্যাপারে কৃষকদের মধ্যে চেতনাবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। পুরনো আমলের চাষাবাদ প্রণালি পরিবর্তন করে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত চাষাবাদে মনোযোগী হতে হবে। আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা সম্পর্কে কৃষকদের কৃষি বিশেষজ্ঞ ও কৃষি কর্মকর্তাদের সক্রিয় সহযোগিতা তাদের এ সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে।

সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, www.moa.gov.bd

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon